ফি বছর ইসলামের নানা অনুসঙ্গ এলেই এক শ্রেণির মানুষকে স্ব-অস্তিত্ব জানান দেওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত হতে দেখা যায়। এরা সচরাচর প্রগতিশীল, সুশিল, সংস্কৃতিমনা, আধুনিকমনা ইত্যাদি নামে পরিচিত। কেন জানি দেশীয় পৌত্তলিক আচারে এদের আধুনিক মন ঠাস করে ফিউজ হয়ে যায়, শুধু ইসলামের ক্ষেত্রেই ১০০ পাওয়ারের সৈনিক বাল্বের মত জেগে উঠে। এবার রমাদানেও এমন একজন ভদ্দরনোক রমাদান নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন; ভক্তকূল তার দাবি যাচাই না করেই পরম ভক্তিতে সেটা মেনে নিয়েছে এবং ধার্মিকদের এক হাত দেখে নেওয়ার আশায় স্মিতহাস্য হচ্ছে।

তিনি বলেছেন, ‘ধর্মীয় কারণে উপোস থাকা প্রায় সকল ধর্মের মধ্যেই আছে। সনাতন হিন্দু ধর্ম, খ্রিশ্চিয়ানিটি, বৌদ্ধ, জুডাইজম, ইসলামসহ সকল প্রধান ধর্মের মধ্যে এটা বিদ্যমান।’ ইসলাম কখনোই এই দাবি করে নি যে রোযা রাখা কেবল এই জীবন ব্যবস্থাতেই ইউনিক। কুর্‌আন জানায়, প্রত্যেক জনপদেই প্রেরিতপুরুষ এসেছেন মানুষকে পথ দেখাতে। (সূরা রাদ ১৩:০৭) আল্লাহ কুরআনে স্পষ্টই বলেছেন, মুসলিমদের উপহার দেওয়া সাওমের বিধান পূর্ববর্তী উম্মাহতেও ছিল। (সূরা বাকারা ২:১৭৭) তবে হ্যাঁ, পদ্ধতিগত বদল থাকতেই পারে। আর এটাও স্বীকার করতে হবে অন্যান্য ধর্মের ক্ষেত্রে এই আচার মুষ্ঠিমেয় মানুষের মাঝেই সীমিত, কিন্তু ইসলামি জীবনব্যবস্থায় রমাদানের সাওম পালন সকলের জন্য ফরয; পালন করতেই হবে। এখন প্রশ্ন হলো – আমরা কেন সাওম পালন করি? স্বাস্থ্যবান থাকার জন্য, ফিট থাকার জন্য? উঁহু, আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি হাসিলের জন্য; জান্নাত কামাবার জন্য। সাওম এমন এক ট্রেইনিং পিরিয়ড যা আমাদের আল্লাহ্‌ সচেতন (তাকওয়াবান) করার জন্য প্রোগ্রাম করা হয়েছে। এই এক মাসের ট্রেইনিং নিয়ে যাতে করে বাকি ১১ মাস; মূলত বাকি জীবন আল্লাহ্‌ সচেতন হয়ে জীবনযাপন করতে পারি, সেই বারতাই বহন করে রমাদানের প্রতিটি সিয়াম। বলাই বাহুল্য, প্রতিটি ট্রেইনিং এ যেমন লাভ আছে, তেমনি ক্ষতির ঝুঁকিও আছে।

Embed from Getty Images

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের ট্রেইনিং এর সময় কালো ধোঁয়া গিলতে হয়, আগুনে ছ্যাকাও খাওয়া লাগে; আর্মির ট্রেইনিং এ দড়ি/পিলার বেঁয়ে উঠা, কাঁটাতারের নিচে হামাগুড়ি দিয়ে যাওয়ার সময় কাঁটাতারের খোঁচা, হাটু ছিলে যাওয়া, পড়ে গিয়ে ব্যথা পাওয়া এগুলো হতে পারে; কমান্ডো ট্রেইনিং এ তো শুনেছিলাম একখান চাক্কু দিয়ে জঙ্গলে ছেড়ে দেয়, ভাবখানা এমন – পারলে বেঁচে ফেরত আয় দেখি! আর্মি ক্যাম্পে তো আর এমনি এমনি লেখা থাকে না – ‘কঠিন প্রশিক্ষণ, সহজ যুদ্ধ’। তাই যতসামান্য ক্ষতির তুলনায় ট্রেইনিং যেমন উপকারী, তেমনি রোযায় যদি ক্ষতি হয়েও থাকে তার উপকার আছে; তাছাড়া ক্ষতি হলেও তা অল্প হয়।

অভিযোগকারী যেহেতু নাস্তিক, তাই তার কাছে রোযার দুনিয়াবি ফায়দাই বিবেচ্য। তিনি বলেন, ‘এই ধর্মীয় রিচুয়াল পালনে স্বাস্থ্যের উপকার না অপকার হয় তা নিয়ে বিস্তর আগ্রহ মানুষের।’ তবে মুসলমানদের এ নিয়ে তেমন আগ্রহ নেই, কারণ আমরা জাগতিক ফায়দার জন্য সাওম পালন করি না। তবে নাস্তিক সাহেবের সমস্যা অন্য যায়গায়, বিজ্ঞান দিয়ে কেন রোযার ফায়দার বয়ান দেওয়া হচ্ছে? বিজ্ঞান তো নাস্তিকদের সম্পত্তি, এখানে ধার্মিকরা ভাগ বসাচ্ছে কেন?!

তিনি বলেন, ‘কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিজ্ঞানভিত্তিক বা গবেষণা ভিত্তিক লেখার চেয়ে অনুমান ভিত্তিক, এমনকি বিজ্ঞানের আবিস্কারের কু-ব্যবহার করে সত্যের মধ্যে মিথ্যা ঢুকিয়ে নানান প্রচারণা চালানো হয়। কেউ বিনা যুক্তিতে বিশ্বাসের সঙ্গে পালন করতে পারেন, তাতে কোন সমস্যা বা আপত্তি নেই, কিন্তু বিজ্ঞানের অপব্যবহার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অধিকার কারো নেই।’ বাহ বাহ! নিজেরা অহর্নিশ বিজ্ঞানের অপব্যবহার করে নাস্তিকতার পক্ষে সাফাই গাইছেন সেটার অধিকার আপনাকে কে দিলো মশাই? যেখানে একাডেমিক দৃষ্টিকোণ বলছে, বিজ্ঞানের সাথে নাস্তিকতার সম্পর্ক নেই! আর বিশ্বাসীরা এ কাজ করলেই তাদের পিণ্ডী চটকানোর তাল করছেন, ডাবল স্ট্যান্ডার্ড কেন মশাই? আলোচ্য পোস্টে বিজ্ঞানের খণ্ডিত ব্যবহার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন, এই অধিকার আপনাকে কে দিলো? আমি কিন্তু আবার অনুমানের উপর লিখি নি, রেফারেন্সে থাকা লিংকগুলো ঘুরে আসলেই বুঝতে পারবেন।

পোস্টদাতা একজন আস্তিকের স্বরূপ উন্মোচন করেছেন বলে দাবি করলেন। তো আস্তিক সাহেব কি অপরাধ করেছেন? রোযা রাখার ফলে শরীরে অটোফ্যাগি/অটোফেজি প্রক্রিয়া ফ্যাসিলিটেটেড হয়। এটা হলো অনেকটা শরীরের নিজের কোষ যখন ভেতরের বর্জ পদার্থ খেয়ে ফেলে এবং কোষগুলো নতুন ভাবে উজ্জীবিত হয় সেই প্রক্রিয়া। অনাহারে থাকলে এটা ঘটে। এর সাথে ইসলামের রোযাকে খাসভাবে জুড়ে দিয়েছেন একজন আবেগি মুসলিম। এই কাজ ঠিক নয়, কারণ রোযা যে শুধু ইসলামেই আছে তা নয়। তবে এটাও স্বীকার করতে হবে রোযা ইসলামে যেভাবে পালিত হয়, অন্য ধর্মে সেভাবে পালিত হয় না। তাই ফায়দা আমাদেরই বেশি। এই আলোচনায় প্যাঁচ লাগাতে তিনি হঠাৎ অটোফেজিকে বিবর্তনের সাথে জুড়ে দিলেন! শোচনীয় অবস্থা! অবজারভেশন বনাম থিওরি ইকুইভোকেশন – বিজ্ঞান সম্পর্কে অজ্ঞদের কমন মিসটেক। উনার মত প্রফেসর এমন মিসটেক করবে এটা মেনে নেওয়া যায় না।

যাই হোক, তো রোযার শারীরিক ফায়দা কি একটাই? উনি বলেছেন, ‘যদিও মেডিক্যাল সায়েন্সের মতে লম্বা সময় একদম কিছু না খেয়ে থাকা, বিশেষ করে শরীরকে পানিশূন্য করার অপকারই সবচেয়ে বেশি। সেদিক থেকে অন্যান্য ধর্মের প্রথায় যেখানে ফলমূল বা পানি পান করা যায় তা-ই বরং স্বাস্থ্যকর ব্যবস্থা। লম্বা সময় না খেয়ে থাকলে বা পানি পান না করলে কী কী শারীরিক পরিবর্তন হতে পারে তা নিয়ে গবেষণায় মিশ্র ফলাফল পাওয়া গেছে।’ (হুম বুঝা গেছে, চুলকানি শুধু ইসলাম নিয়েই!)

প্রথমেই আসি স্বাস্থ্যবান মানুষের বিষয়ে। ব্রিটিশ নিউট্রিশন ফাউন্ডেশান বলছে – বৈজ্ঞানিক গবেষণা অনুযায়ী রামাদানের রোযার স্বাস্থ্যগত প্রভাব মিশ্র প্রকৃতির। তবে প্রফেসর সাহেব যেমন শুধু বদনামই করেছেন, বিলেতি সাহেবরা তা করেননি। সুশীলদের কার্টিসি বরাবরই ঝামেলার। তিনি মেডিকেল সাইন্সের বরাতে বলেছেন – লম্বা সময় একদম কিছু না খেয়ে থাকা, বিশেষ করে শরীরকে পানিশূন্য করার অপকারই সবচেয়ে বেশি। ব্রিটিশ জার্নাল অফ নিউট্রিশনে প্রকাশিত গবেষণা জানাচ্ছে – It was concluded that healthy young adults maintain good control of fluid and electroytes during Ramadan. অর্থাৎ রমাদানের সময় পানি ও আয়নের ভারসাম্য ভালোভাবেই নিয়ন্ত্রণে থাকে। ইউরোপিয়ান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনে প্রকাশিত আরেক বৈজ্ঞানিক গবেষণা জানাচ্ছে – রমাদানে পানিশূন্যতার ফলে কোনও ক্ষতিকর প্রভাব পাওয়া যায় নি। তাছাড়া আরেক পেপারে জানা যাচ্ছে, রমদানের হেলথ প্রটেকটিভ ইফেক্ট রয়েছে, হেলথ ডেস্ট্রাকটিভ নয়। অথচ নাস্তিক প্রফেসর মনে করেন, রোযার প্রভাব স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্নক ক্ষতিকর! অথচ জার্নাল পেপার জানাচ্ছে হার্ট, ফুসফুস, কিডনি, চোখ, হেমাটলজিক্যাল প্রোফাইল, এন্ডোক্রাইন ও নিউরোসাইকিয়াট্রিক কার্যাবলির উপর কোনও নেতিবাচক প্রভাব নেই!

Embed from Getty Images

উনার মতে, লম্বা সময় না খেয়ে থাকা, পানিশূন্য থাকা শরীরের মেটাবোলিজম কমিয়ে দেয়; অনেকটা গুহামানবের অবস্থানে চলে যায় শরীর যখন খাদ্যের সংকট ছিল। পরোক্ষভাবে পুরো মুসলিম কমিউনিটিকে গুহামানব বানিয়ে দিলেন তিনি, অনেকে মধ্যযুগীয় বলে; ইনি আবার আরেক কাঠি সরেস; যাই হোক। উনার মতে, রোযা রাখলে শরীরের চর্বি যেমন কমে, তেমনি লীন বা হালকা মাংসপেশি কমে যায় পাঁচ শতাংশের মতো। এই মাংসপেশি কমা কিন্তু ভাল না। কিন্তু জার্নাল পেপার জানাচ্ছে রমাদানে লীন মাস কমার প্রমাণ পাওয়া যায় নি! এর কারণ তুলে ধরে একজন বিশেষজ্ঞ বলছেন –

“যেহেতু রোজার সময় কেবল দিনের বেলাতেই আপনাকে না খেয়ে থাকতে হয়, তাই আমাদের শরীরের চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট খাবার এবং তরল বা পানীয় গ্রহণের সুযোগ থাকছে রোজা ভাঙ্গার পর। এটি আমাদের মাংসপেশীকে রক্ষা করছে এবং একই সঙ্গে আমাদের আবার ওজন কমাতেও সাহায্য করছে।”

ড: রাজিন মাহরুফ | কনসালট্যান্ট, অ্যানেসথেসিয়া এন্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন
ক্যামব্রিজ এডেনব্রুকস হাসপাতাল

তিনি যেভাবে মাংশপেশী কমার বয়ান দিয়েছেন তা বাস্তবতা বিবর্জিত দূর কল্পনা। তিনি বলেছেন – রোজা রাখলে যে পানি শূন্যতা হয় তা থেকে রক্তে ইউরিক এসিড বেড়ে যাওয়া (যা থেকে গাউট হতে পারে)। রোযা রাখলে ইউরিক এসিড বাড়ে এটা বিভিন্ন গবেষণায় পাওয়া গেছে, তার মানে এই না এর দ্বারা গাউট হতে পারে। তাই যদি হয় তাহলে গাউটের রোগীরা রোযা রাখলে তো গাউট বেড়ে যাওয়ার কথা, তাই না? কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, রমাদানের রোযার দ্বারা গাউট বাড়ার তেমন একটা ঝুঁকিই নেই! মেডিকেলের জনপ্রিয় ও বহুল প্রচলিত পাঠ্যবই Davidson’s Principle & Practice of Medicine এ গাউট কতবার পড়লাম, কই কারণ হিসেবে রোযা তো পেলাম না। এমনকি হাইপারইউরেসেমিয়া (ইউরিক এসিড বেড়ে যাওয়া) এর কারণের তালিকাতেও রোযা নেই।

এতক্ষণের আলোচনা ছিলো সুস্থ মানুষের জন্যে। পোস্টদাতা মনে করেছেন – ‘যাদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্ত চাপ আছে বা অন্য কোন অসুখ আছে, বয়স বেড়ে গেছে তাদের ক্ষেত্রে বড় রকমের স্বাস্থ্য ঝুঁকি ছাড়া কোন ভাল ফল তেমন পাওয়া যায় নি।

ইশ, এটাও বাজে কথা। কাতারের পরিচালিত এক স্টাডিতে পাওয়া গেছে রোযা রাখার ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের লিপিড প্রোফাইল, রক্তচাপ, গ্লুকোজ, ইউরিক এসিড, গ্লাইকোসাইলেটেড হিমোগ্লোবিন লেভেল কমে আসে। কোনও স্টাডিতে উপকারের পাশাপাশি হাইপোগ্লাইসেমিয়া ও কিটোএসিডোসিসের কিছুটা ঝুঁকি পাওয়া গেছে। তবে সেটা ইনসুলিন ও খাদ্যাভাস নিয়ন্ত্রণ করে সহজেই এড়ানো সম্ভব। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের লিপিড মেটাবলজিমে সমস্যা হয়। অনেকের খারাপ কোলেস্টেরল (LDL-C), ট্রাইএসাইলগ্লিসারল (TG) বেড়ে যায়। PLoS One জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী রমাদানের মত রোযা রাখার দ্বারা লিপিড ও লিপোপ্রোটিন – এর অধিক কার্যকরি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। International Cardiovascular Forum জার্নালে প্রকাশিত সিস্টেম্যাটিক রিভিউ থেকে আরও জানা গেছে গুটিকয়েক ব্যতিক্রম বাদ দিলে – রমাদানের রোযার দ্বারা কোনও হৃদরোগ হওয়া বা হৃদরোগীর সিরিয়াস অবস্থা হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি নেই।

পোস্টদাতা কোনও পিয়ার রিভিউড পেপারের রেফারেন্স দেন নি। স্রেফ মনমতো বলে গেছেন। মিশ্র ফলের মধ্যে শুধু নেতিবাচক ফল টেনে এনেছেন। ভালো-মন্দ উভয়টাই আলোচনা দরকার ছিলো, তা তিনি করেন নি। কারণ, সাওমের গুণ গাওয়া উনার উদ্দেশ্য নয়; প্রগতিশীল সাজা উদ্দেশ্য। আর প্রগতিশীলরা বরাবরই দু’মুখী হন এটা এখন অনেকেই জানেন।
তিনি জোর গলায় বলেছেন, ‘… অবৈজ্ঞানিকভাবে রোজার উপকার নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াবেন না। যারা রোজা রাখবেন তারা জানবেন যে শরীরের আসলে অনেক ক্ষতি হতে পারে।’

আমি বলি,

‘বিজ্ঞানকে খণ্ডিতভাবে নিজের সুবিধামত উপস্থাপন করে রোযার উপকার নেই বলে বিভ্রান্তি ছড়াবেন না। যারা রোজা রাখবেন তারা জানবেন যে এর উপকার আছে অনেক, দুনিয়ায় ও আখিরাতে। এর তুলনায় ক্ষতি যতসামান্য হতে পারে।’

Dr. Rafan Ahmed

মাইক ড্রপ! সালাম

❒ রেফারেন্স:
»https://www.nutrition.org.uk/healthyli…/seasons/ramadan.html
»Effects on health of fluid restriction during fasting in Ramadan. European Journal of Clinical Nutrition volume 57, pages S30–S38 (2003) Available at: https://www.nature.com/articles/1601899
»The effects of fasting in Ramadan: 2. Fluid and electrolyte balance. British Journal of Nutrition, Volume 40, Issue 3 November 1978 , p. 583-589
» রাফান আহমেদ, অবিশ্বাসী কাঠগড়ায়; পৃ. ৩০-৩৯ (ঢাকা: সমর্পন প্রকাশন, ২য় সংস্করণ ২০১৯)
» Is Ramadan fasting related to health outcomes? A review on the related evidence. Rouhani MH, et al. J Res Med Sci. 2014
» Islamic fasting and health. Azizi F. Ann Nutr Metab. 2010.
» Beshyah SA, Hajjaji IM, Ibrahim WH, Deeb A, El-Ghul AM, Akkari KB, Tawil AA, Shlebak A. The year in ramadan fasting research (2017): A narrative review. Ibnosina J Med Biomed Sci 2018;10:39-53
»https://www.bbc.com/bengali/news-44111398
» The Impact of Ramadan Fast on patients with gout. Habib G, et al. J Clin Rheumatol 2014
» Effect of Ramadan fasting on diabetes mellitus: a population-based study in Qatar. Bener A, et al. Ann Afr Med. 2018 Oct-Dec.
» Favorable changes in lipid profile: the effects of fasting after Ramadan. Shehab A, et al. PLoS One. 2012.
» The Imapact of Diurnal Fasting During Ramadan on Patients with Established Cardiac Disease: A Systematic Review. ICF Journal, Vol 15 (March, 2019)
» Impact of diurnal intermittent fasting during Ramadan on inflammatory and oxidative stress markers in healthy people: Systematic review and meta-analysis. Journal of Nutrition & Intermediary Metabolism. Volume 15, March 2019, Pages 18-26